বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর..বিভাগ - ১/ Atmosphere related some important questions and answers - Part - 1
ভূপৃষ্ঠ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত যে গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে ঘিরে রয়েছে, তাকে বায়ুমণ্ডল (atmosphere) বলে। মাধ্যাকর্ষন শক্তির আকর্ষণে ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে এই গ্যাসীয় আবরণ সংযুক্ত হয়ে রয়েছে। বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন ধরনের গ্যাস, জলীয় বাষ্প, ধূলিকণা ইত্যাদি উপাদানগুলির সমন্বয়ে গঠিত। জীবজগতের পক্ষে দূষিত পদার্থ যেমন, সালফার ডাইঅক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড ইত্যাদি গ্যাসও বায়ুমণ্ডলের অঙ্গ।
২. অ্যালবেডো কী ?
সূর্য থেকে আসা সৌরশক্তির প্রায় 34% (মতান্তরে ৩৫%), ধূলিকণা, বরফে ঢাকা জমি, সাগর-মহাসাগর, মরুভূমি, বনভূমি থেকে বিচ্ছুরিত ও প্রতিফলিত হয়ে আলোক তরঙ্গের আকারে মহাশূন্যে ফিরে যায়। একে পৃথিবীর অ্যালবেডো (Albedo) বলে। এই albedo বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য খুবই উপযোগী।
৩. তাপমাত্রার বৈপরীত্য বলতে কী বোঝায়? বা বৈপরীত্য উষ্ণতা কি?
সাধারণভাবে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর উষ্ণতা কমে (প্রতি ১০০০ m বা ১ k.m তে ৬.৪°C)। একে উষ্ণতা হ্রাসের স্বাভাবিক গড় বলে। কিন্তু কখনো কখনো উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও উষ্ণতা কমে না, তখন এই বিপরীত অবস্থাকে তাপমাত্রার বৈপরীত্য বা বৈপরীত্য উষ্ণতা (Inversion of temperature) বলে। রাত্রিবেলা পাহাড়ি ঢালে ও দিনের বেলা উপত্যকা অঞ্চলে বৈপরীত্য উষ্ণতা ঘটে।
৪. ক্যাটাবেটিক বায়ু কী?
রাত্রিবেলা পাহাড়ের গা থেকে তাপ বিকিরণের ফলে পাহাড়ি ঢাল ঠান্ডা হয়ে যায়। তখন পাহাড়ের ওপরের ঢাল থেকে ঠান্ডা ভারী বাতাস নীচের দিকে নামতে থাকে ও উপত্যকার মধ্যে জমা হয়। উপত্যকামুখী এই শীতল বায়ুকে ক্যাটাবেটিক (Katabatic) বায়ু বলে। ফলে নীচে উপত্যকার মধ্যে খুব ঠান্ডা বাতাস, আর একটু ওপরের দিকে অপেক্ষাকৃত গরম অবস্থা লক্ষ করা যায়।
৫. অ্যানাবেটিক বায়ু কী ?
দিনের বেলা উপত্যকার বায়ু গরম হয়ে পাহাড়ি ঢাল বরাবর ওপরের দিকে উঠতে থাকে। এই ঊর্ধ্বমুখী উষ্ণ বায়ুকে অ্যানাবেটিক (Anabatic) বায়ু বলা হয়।
৬. ওজোন স্তর কি?
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে ওজন (O3) গ্যাসের ঘন স্তরটিকে ওজন স্তর ( Ozone Layer) বলে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর পৃথিবীকে রক্ষা করে বলে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে অবস্থিত এই স্তরটিকে পৃথিবীর "প্রাকৃতিক সৌরপর্দা" বলা হয় ।
No comments:
Post a Comment